আসসালামু আলাইকুম
আশাকরি সবাই সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন।
অনেকেরই ল্যাপটপ কম্পিউটার আছে কিন্তু ভালো কোনো কাজ না জানার কারণে ওয়ার্ল্ড মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারছেন না।
এবং অনেকেই মনে করেন ফ্রিল্যান্সিং হতে হাই কোয়ালিটির কাজ জানতে হয়। এটি একেবারেই ভুল ধারণা। আপনি ছোট ছোট কাজ কোয়ালিটিফুল ভাবে করেও হিউজ পরিমান ইনকাম করতে পারেন।
তবে এটা সত্য কথা আপনি যদি ওয়ার্ল্ড মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে চান। আপনি যাই করুন না কেন অবশ্যই আপনাকে কোয়ালিটিফুল কাজ করতে হবে। নয়তো আপনি টিকতে পারবেন না।
মনে রাখবেন এখানে শুধু বাংলাদেশের লোক আপনার কম্পিটিটর নয়, বরংচ সারা পৃথিবীর লোক এখানে আপনার কম্পিটিটর।
ফ্রিল্যান্সিং সাইট গুলোর সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। ডাটা এন্ট্রির কাজ অল্প শিক্ষিত মানুষেরা ও করতে পারবে। যদি তাকে ডাটা এন্ট্রি সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা দেওয়া যায়।
কোন প্রতিষ্ঠান থেকে যদি আপনারা ডাটা এন্ট্রি ফুল কোর্স করেন তাহলে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা লাগবে। কিন্তু আপনাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ডাটা এন্ট্রি ফুল কোর্স।
আমাদের এই ইউটিউব চ্যানেলে ধারাবাহিকভাবে ডাটাএন্ট্রির কাজ শেখানো হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে
প্রফেশনাল ভাবে কিভাবে একাউন্ট খুলবেন?
কিভাবে একাউন্ট ভেরিফিকেশন করবেন?
কিভাবে মার্কেটপ্লেসে গিগ বা প্রজেক্ট রেডি করবেন?
কিভাবে অর্ডার কমপ্লিট করবেন?
বিস্তারিত থাকছে এই কোর্স এ। পাশাপাশি আপনাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে, লাইফ প্রজেক্ট গুলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।
তাই সম্পূর্ণ কোর্সটি করার জন্য চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল YouTube BD24
পাশাপাশি ভিজিট করতে পারেন আমাদের ওয়েবসাইটে www.jfanika.com এ।
ফ্রিল্যান্সার হন বেকারত্ব দূর করুন।
ডাটা এন্ট্রি (Data Entry) কি :
প্রথমে জানতে হবে ডাটা এন্ট্রি মানে কি। ডাটা মানে তথ্য, আর এন্ট্রি মানে লিপিবদ্ধ করা। তাই ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে কোন তথ্য লিপিবদ্ধ করা বা সংরক্ষন করা। বিস্তারিত অর্থে কম্পিউটারের মাধ্যমে কোন ডাটা এক স্থান বা প্রোগ্রাম থেকে অন্য এক স্থানে বা প্রোগ্রামে প্রতিলিপি করাকে ডাটা এন্ট্রি বলে।
ডাটা এন্ট্রি অনেক ধরনের হতে পারে।
তা নিয়ে একটু পরেই বিস্তারিত আলোচনা করব।
এন্ট্রি কাজ করতে কি কি প্রয়োজন :
ডাটা এন্ট্রি কাজ খুবই সহজ । ফাইভ সিক্স পর্যন্ত পড়া লোকেরাও এ কাজ করতে পারবে, এটা এতটা সহজ কাজ। কাজেই ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে খুব বেশী কিছুর প্রয়োজন নেই।
১. কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থাকতে হবে। (হাই কনফিগারেশনের না হলেও চলবে, শুধু উইন্ডোজ চলছে ইন্টারনেটে ব্যবহার করা যায় এবং টাইপ করা যায় এরকম একটি কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ হলেই হবে )
৩. কম্পিউটার বেসিক ধারণা সহ কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন এর কাজগুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
বিশেষ করে এমএস এক্সেল এর কাজ গুলো ভালোভাবে জানতে হবে।
২. ভালো মানের ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
ডাটা এন্ট্রি কত প্রকার এবং কি কি?
মূলত ডাটা এন্ট্রি দুই প্রকার।
১. অফলাইন ডাটা এন্ট্রি, ২. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি।
১. অফলাইন ডাটা এন্ট্রি : হচ্ছে ইন্টারনেট ছাড়া শুধু কম্পিউটারের মাধ্যমে যে তথ্য উপাত্ত লিপিবদ্ধ বা সংরক্ষন করা হয় তাকে অফলাইন ডাটা এন্ট্রি বলে।
কম্পিউটারে Ms ওয়ার্ড , এক্সেল শীটে বা পাওয়ার পয়েন্টে তথ্য গুলো ভিত্তিতে যে প্রতিলিপি তৈরি কর হয় তাকে অফলাইন ডাটা এন্ট্রি বলা হয়।
অফলাইন ডাটা এন্ট্রি কাজ করতে হলে আপনার অবশ্যই ms-word ms-excel ms-powerpoint সহ টাইপিং স্পিড ভালো থাকতে হবে।
২. অনলাইন ডাটা এন্ট্রি হচ্ছে, ইন্টারনেট সংযোগের ভিত্তিতে কম্পিউটারের মাধ্যমে যে তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে লিপিবদ্ধ করা হয় বা সংরক্ষন করা হয় তাকে অনলাইন ডাটা এন্ট্রি বলে। অনলাইন ডাটা এন্ট্রিতে কোন ওয়েবসাইট বা ফোরাম সাইট থেকে তথ্য সংগ্রহের মাধ্যমে প্রতিলিপি করে সংরক্ষন করা হয়।
অনলাইন ডাটা এন্ট্রির কাজ করতে হলে অবশ্যই আপনাকে গুগোল সীট, ইমেইল, গুগোল ড্রাইভ, পাশাপাশি এমএস এক্সেল এবং ইন্টারনেট ব্রাউজিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে টাইপিং স্পিড কম হলেও সমস্যা নেই।
ডাটা এন্ট্রি কাজ কত প্রকার ও কি কি?
আসলে তথ্য বিভিন্ন প্রকার হতে পারে যেমন ধরুন: অডিও-ভিডিও, ডকুমেন্ট, ইমেজ, টেক্সট, নাম্বার ইত্যাদি।
তবে বর্তমান সময়ে মার্কেটে জনপ্রিয় কিছু ডাটাএন্ট্রির নাম উল্লেখ করতে পারি। যেমন:
এমএস এক্সেল ডাটা এন্ট্রি
জব পস্টিং
ট্রানসলেশন
• ডাটা কনভার্শন
• ডাটা ক্রিয়েশন
৪. ক্যাপচা এন্ট্রি
৫. কপি-পেস্ট
৬. প্রাইমারি ডাটা এন্ট্রি
৭. সেকেন্ডারী ডাটা এন্ট্রি
৮. ডাটা এস্ক্যাপিং
৯. ডাটা মাইনিং
১০. ডাটা রিসার্চ
ওয়েব রিসার্চ
এস্পেলিং চেকিং
• পেপার ডকুমেন্টেশন
ইত্যাদি।