খুব অভাবে আছেন, ঘরে খাবার নেই, অথবা সমাজে অন্যদের মতো চলতে পারছেন না? বাচ্চাকাচ্চার ভবিষ্যৎ কি? এইসব চিন্তায় কি অস্থির হয়ে গেছেন? তাহলে আপনার জন্য আজকের আমাদের এই বিশেষ ভিডিও।
দেখুন রেজিক অলৌকিক একটা ব্যাপার, যদিও আপনি দেখছেন, ধরছেন, খাচ্ছেন।
আমি পুরো জীবনে কত দানা খাবার খাব, কতটুকু পানি খাব, কত টাকা আয় করবো, কে আমার জীবনসঙ্গী হবে, কবে কোথায় কিভাবে মারা যাবো, এই সবকিছু আগে থেকেই ঠিক করা আছে। আমি আমার রেজিক থেকে, একটি দানাও কম বা বেশিও খাবো না।
দেখবেন অনেকে কোটি টাকার মালিক, কিন্তু নিজেকে ফিট রাখার জন্য, তাকে অনেক অল্প খেতে হয়। এটি আমরা খালি চোখে দেখছি।
আসল সত্য কথা হলো, ওই বয়সে এসে আল্লাহ তার রেজিকটা অতটুকুই দিয়েছেন, যতটুকু তিনি খাচ্ছেন।
দেখেন আমি বাংলাদেশে বসে আমেরিকার একটি ফল খাচ্ছি। কিন্তু কি অদ্ভুত! ওই আমেরিকার গাছে মুকুল আসার আগেই আল্লাহ আমার জন্য রিজিক লিখে রেখেছে। এটা আগে থেকেই নির্ধারিত যে এই ফলটি আমার কাছে পৌঁছাবে। এর মধ্যে, কত পাখি ওই ফলের উপর বসেছে, কত মানুষ এই ফলটি পাড়তে গেছে, দোকানে অনেকে এই ফলটি নেড়েচেড়ে রেখে গেছে, পছন্দ হয় নি, কিনে নি। এই সব ঘটনার কারণ একটাই, ফলটি আমার রিজিকে লিখিত। যতক্ষণ না আমি কিনতে যাচ্ছি, ততক্ষণ সেটা ওখানেই থাকবে।
অনেকেই দেখবেন ১০-১২ দিন স্যালাইন দিয়ে রেখেছে পানিও খেতে পারছে না তারপর সে মারা গেছে। আসলে তার মারা যাওয়ার দশ দিন আগেই তার রেজিক শেষ হয়ে গেছে। এখানে আফসোস করার কিচ্ছু নেই। যতোটুকু তার রেজিক ছিল ততটুকু সে বিন্দু পরিমাণ পর্যন্ত ভোগ করেছে।
দেখবেন অনেক অভাবের সময় হঠাৎ করেই আত্মীয়-স্বজন চলে আসে। আমরা মনে মনে বিরক্ত হয়ে যাই, হতাশ হয়ে যায়।
আশ্চর্যের বিষয় হলো ওই আত্মীয়-স্বজন,
তার রেজিক খাওয়ার জন্য আমার বাসায় এসেছে, ঠিক যতটুকু তার জন্য মহান আল্লাহ তা'আলা বরাদ্দ করেছেন। তারা আমার রিযিক খাওয়ার জন্য আসেনি।
শুধুমাত্র আল্লাহ্ তায়ালা আমার মাধ্যমে তার কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
আর মাঝখান থেকে আমি সোয়াবের অংশীদার হয়ে গেলাম।
তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক আরো অটুট হল।
দেখবেন সকালে আমি ভত্তা ভাত খেয়ে কাজ করছি ,
জীবনে কোনদিন আমি সিঙ্গাপুর দেখিনি, আমি কল্পনা তো কখনো ভাবি নি যে সিঙ্গাপুরে যাব, কিন্তু আল্লাহতালা আমার রাতের খাবারটা সিঙ্গাপুরে রেখেছে, কাজেই যেভাবেই হোক আমি রাতের খাবার সিঙ্গাপুরেই খাব। কারণ আল্লাহতালা আমার রেজিকটা এভাবেই বন্টন করেছেন।
কিন্তু দুঃখজনক হলো, একবারও আমরা, এই কথাগুলো ভেবে দেখছি না। আমার যে বন্ধু অলৌকিকভাবে আমাকে সিঙ্গাপুরে এনে ডিনার করাচ্ছে, আমি মন প্রাণ উজাড় করে তাকে ভালোবাসি, তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কিন্তু এই সবকিছুর পেছনে যিনি ছিলেন, তাকে একবারও শুকরিয়া জানানো হয়নি।
ধরেন এটা লিখিত যে, আমি সারাজীবনে ১ কোটি টাকা আয় করবো, এই সিদ্ধান্ত আল্লাহ্ তায়ালা নিয়েছেন।
আমি হালাল উপায়ে আয় করবো, না হারাম উপায়ে আয় করবো সেই সিদ্ধান্ত কিন্তু আমার।
যদি আমি সৎ ভাবে উপার্জন করতে চাই, তাহলে আমাকে পরিশ্রম করার পাশাপাশি, ধৈর্য ধারণ করতে হবে, আল্লাহ তায়ালার কাছে সাহায্য চাইতে হবে। তাহলে হালাল উপায়েই ঐ ১ কোটি টাকা আয় করে তারপর আমি মারা যাবো।
আর যদি আমি হারাম পথ বেছে নেই তবুও ওই এক কোটি টাকা ইনকাম করেই মারা যাবো।
ধরুন আপনার অনেক বিপদ, দুই দিনের ভিতরে এক লক্ষ টাকা লাগবে, আপনি চিন্তায় দিশেহারা হয়ে গেছে, আল্লাহর কাছে সাহায্য না চেয়ে, হতাশ হয়ে পড়ছেন। কিন্তু আল্লাহতালা, আগে থেকেই জানেন, আপনার এই সময়ে এসেই, এই এক লক্ষ টাকার প্রয়োজন হবে। যেহেতু আল্লাহ সরাসরি আপনাকে দিবে না, কিংবা কোন ফেরেশতা আপনার কাছে আসবে না। তাই আল্লাহ তাআলা আগে থেকেই, কোন একজনকে আপনার জন্য ঠিক করে রেখেছে।
আপনি তাকে চিনেন, বা না চিনেন, ওই নির্ধারিত ব্যক্তি ঠিক ওই সময়ে, এসে আপনাকে টাকাটা দিয়ে যাবে, সেটা যেকোন ওসিলায় হোক।
কাজেই রিজিক নিয়ে কখনো চিন্তিত হবেন না। আপনার ভাগে যতটুকু আছে, সঠিক সময় আপনি পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।