১. সাধু ভাষায় সংস্কৃত ও তৎসম শব্দের প্রাধান্য বেশি থাকে
২. সাধু ভাষা গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের অধিকারী ।
৩. বিদেশি শব্দের ব্যবহার অপেক্ষাকৃত কম ।
8 . এ ভাষার বাক্যরীতি নিয়ন্ত্রিত ও গতি মন্থর ।
৫. সাধু ভাষায় সন্ধি ও সমাসের আধিক্য বেশি থাকে ।
৬. সাধু ভাষায় ক্রিয়াপদের পূর্ণরূপ ব্যবহৃত হয় । যেমন- করিয়া , বলিয়া , চলিয়া ইত্যাদি ।।
৭. সাধু ভাষায় সর্বনামের পূর্ণরূপ ব্যবহূত হয় । যেমন- তাহারা , যাহারা , কাহারা ইত্যাদি ।
৮. সাধু ভাষা সাধারণত কথাবার্তা , বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযােগী নয় ।
৯. প্রাচীন ভাষার প্রচলিত শব্দসমূহ সাধু ভাষায় স্থান পায় ।
১০. সাধু ভাষা মার্জিত ও সর্বজনবােধ্য এবং অঞ্চলবিশেষের প্রভাবমুক্ত ।
সাধু ভাষার উদাহরণ:
মা যেমন স্নেহ , মমতা ও ভালােবাসা দিয়া আমাদের আগলিয়ে রাখেন । দেশও তেমনটি তার আলাে ও বাতাস সম্পদ দিয়া আমাদের বাচাইয়া রাখিয়াছে । মাকে আমরা যেমন ভালােবাসি , দেশকেও তেমনি ভালােবাসিতে হইবে । দেশকে ভালােবাসার মধ্য দিয়াই সার্থক হইয়া উঠত আমাদের জীবন ।
চলিত ভাষার বৈশিষ্ট্য:
১. প্রাচীন ভাষার প্রচলিত শব্দসমূহ পরিহার করা হয় ।
২. সাধু অপেক্ষা চলিত ভাষা সর্বসাধারণের জন্য সহজ ও সংক্ষিপ্ত ।
৩. চলিত ভাষা পরিবর্তনশীল ।
৪. চলিত ভাষায় তদ্ভব , দেশি ও বিদেশি শব্দের প্রয়ােগ বেশি থাকে ।
৫. ক্রিয়াপদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহূত হয় । যেমন- করে , বলে , চলে ইত্যাদি ।
৬. সর্বনাম পদের সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহৃত হয় । যেমন- তারা , যারা , কারা ইত্যাদি ।
৭. চলিত ভাষা সন্ধি ও সমাসকে ভেঙে সহজ রূপে লেখার প্রবণতা বেশি ।
৮. চলিত ভাষা ব্যাকরণের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী নয় ।
৯. চলিত ভাষা , সাধারণত কথাবার্তা , বক্তৃতা ও নাটকের সংলাপের উপযােগী ।
প্রমিত চলিত ভাষার উদাহরণ :
চাচি মা যেমন স্নেহ , মমতা ও ভালােবাসা দিয়ে আমাদের আগলে রাখেন , দেশও তেমনিই তার আলাে ও বাতাস সম্পদ দিয়ে আমাদের বাচিয়ে রেখেছে । মাকে আমরা যেমন ভালােবাসি , দেশকেও তেমনিই ভালােবাসতে হবে । দেশকের ভালােবাসার মধ্য দিয়েই সার্থক হয়ে উঠবে আমাদের জীবন । গাই উপরে সাধু ও চলিত ভাষার যে উদাহরণ দেয়া হয়েছে । তাতে দেখা যায় যে , সাধু ভাষার ক্রিয়াপদ , সর্বনামপদ , বিশেষ্যপদ ও বিশেষণ পদ চলিত ভাষায় সংকুচিত এবং রূপান্তরিত হয়ে যায় ।