boya by m1
বয়া এম ওয়ান মাইক্রোফোন আসল এবং নকল যেভাবে চিনবেন।
বয়া এম ওয়ান (BOYA M1) কম দামে বেষ্ট মাইক্রোফোন। এবং কোয়ালিটির দিক থেকেও অসাধারণ। যার কারণে উপস্থাপনা থেকে শুরু করে ইউটিউব মার্কেটিং পর্যন্ত ছড়িয়েছে এই মাইক্রোফোনের চাহিদা এবং গুরুত্ব।
যেহেতু বাজারে বিশাল একটা জায়গা জুড়ে রয়েছে boya M1 মাইক্রোফোনটি, কাজেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা এই মাইক্রোফোনের কপি এবং মাস্টার কপি বের করে বাজার ছড়িয়ে ফেলেছে।
boya m1 fake or original
কোন সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব না কোনটি আসল এবং কোনটি নকল প্রডাক্ট।
কাজেই আসল এবং নকল চেনার সুবিধার্থে প্রত্যেকটি দিক আমরা তুলে ধরব। যা দেখে খুব অনায়াসে আপনারা আসল এবং নকল চিনতে পারবেন।
প্রথমে আমরা boya by m1 মাইক্রোফোনের প্যাকটি ভালো ভাবে চেক করব। কারণ এর প্যাকেটের মধ্যে রয়েছে গোপন টিপস। যা অনেকেই জানে আবার অনেকেই জানিনা।
এবার নিচের boya by m1 ছবিটি ভালোভাবে খেয়াল করুন।
এবার আমাকে বলুন তো এই দুটো প্যাকেট এর মধ্যে কোথাও কি পার্থক্য রয়েছে?
হ্যাঁ রয়েছে, যা আমরা অনেকেই ধরতে পারিনা।
ওপরের প্যাকেজটিতে আমরা একটি স্টিকার দেখতে পাচ্ছি boya by m1 এস্ক্যান কোড এবং কিছু মার্ক করা নাম্বার। এবং প্রেজেন্টেশনের মহিলাটা ছবি হালকা কালো।
এবং নিচের ছবিটি আমরা দেখছি, boya by m1 স্টিকারের নিচের অংশ যেখানে কিউ আর কোড এবং সিরিয়াল নাম্বার রয়েছে সেই অংশটুকু ব্লার করা। যা হালকা ঘষে তুলতে হবে। এবং প্রেজেন্টেশন মহিলার ছবিটা একটু বেশি উজ্জ্বল।
আরো পড়ুন
কিভাবে কম্পিউটারের গ্রাফিক্স কার্ড চেক করব?
এখানে নিচের প্যাকটি অরিজিনাল। ব্লার করা অংশটুকু হালকা ঘষে পুরো কিউআর কোডটি স্ক্যান করুন। এবার একটি ব্রাউজার সিলেক্ট করুন। আপনাকে বয়ার অথরাইজ চেক ওয়েবসাইটের নিয়ে যাবে, এবার একটু অপেক্ষা করুন।
অটোমেটিক এ আপনার সিরিয়াল নাম্বারটি অথরাইজ বক্সে উঠে যাবে। এবার আইডেন্টিফাই এই বাটনে ক্লিক করুন। দেখুন তো নিচের পিকচার টির মত কোন পিকচার এসেছে কিনা?
![]() |
অরিজিনাল boya by m1 |
যদি গ্রিন সিগন্যাল ওঠে এবং আপনাকে কংগ্রাচুলেশন বলে তাহলে নিঃসন্দেহে এটি অরিজিনাল প্রডাক্ট। তবুও আপনি সংখ্যাগুলো সঙ্গে আপনার বক্সের সংখ্যাগুলো মিলিয়ে নিবেন। এবং কোন কোন সংখ্যায় মার্ক করা আছে সেগুলো চেক করবেন।
আর যদি নিচের ছবিটির মত ক্লোজ আসে এবং বলে দেয় আপনার প্রোডাক্ট তাহলে হান্ডেট পার্সেন্ট আপনার প্রোডাক্ট কপি অথবা ফেক।
![]() |
কপি বয়া এম ওয়ান |
চলুন এবার দেখে নেই বক্স এর পিছনের অংশে কি কি থাকলে বুঝব এটা আসল এবং কি কি না থাকলে বুঝব যে এটি ফেক।
![]() |
আসল boya by m1 |
উপরের বক্সের ছবিটি ভাল করে খেয়াল করুন। নিচে যেখানে লাল কালি দিয়ে মার্ক করা হয়েছে সে জায়গাটি একটু ভালো করে দেখবেন। এখানে কোম্পানির পুরো এড্রেস লেখা আছে। এবং এই লেখাগুলো শুধুমাত্র অরিজিনাল প্যাকেটেই থাকে।
এবং কপি অথবা ফেক boya by m1 প্রোডাক্ট প্যাকেটের এই অংশটুকু ফাঁকা থাকবে।।
![]() |
নকল boya by m1 এর প্যাকেট |
![]() |
আসল বয়া এম ওয়ান এর প্যাকেট |
উপরে যে ছবিটি দেখছেন BOYA নিচে লেখা গুলো অনেক ছোট এবং প্রতিটি লেটার এরপর এসপেস রয়েছে। এটি অরিজিনাল বয়া এম ওয়ান এর প্যাকেট।
প্যাকেট দেখে তো চিনতে পারলাম অরিজিনাল প্যাকেট এবং ফেক প্যাকেট কেমন হয়। কিন্তু ভেতরের প্রোডাক্ট গুলো দেখে কিভাবে চিনব যে, এটি আসল boya by m1.
প্যাকেটের ভিতর boya by m1 এর ব্যাগের ভেতরে আমাদের প্রোডাক্ট গুলো থাকবে।
এছাড়াও প্যাকেটে একটি ইউজার বই এবং একটি ওয়ারেন্টি পেপার থাকবেই।
অরিজিনাল boya by m1 ইউজার বইয়ের মোট পৃষ্ঠা থাকবে 15 টি। অর্ধেক ইংরেজিতে এবং শেষের দিকের অর্ধেক পেজে চাইনিজ ভাষায় লেখা থাকবে।
পাশাপাশি ফেক অথবা কপি boya by m1 এর প্যাকেট এ যে ইউজার বইটি পাবেন, সেই বইটি পুরো ইংরেজি লেখা থাকবে এবং মাত্র 10 পৃষ্ঠার হবে।
সেকেন্ড যেটি দেখে চিনব সেটি হচ্ছে ওয়ারেন্টি পেপার। আসল বয়ানের যে ওয়ারেন্টি পেপারটা থাকবে একটু মোটা কাগজ এবং দুই পৃষ্ঠার হবে।
এবং নকল বয়া এম ওয়ান এর ওয়ারেন্টি পেপারটা অনেক পাতলা কাগজের হবে এবং অর্ধেক পৃষ্ঠার হবে।
এবার প্রোডাক্ট আনবক্সিং করুন।
boya by m1 ছাড়াও সেখানে একটি পানি কালার প্যাকেটে থাকবে। বয়া এম ওয়ান এর ব্যাটারি, হেডফোনের ক্লিপস এবং একটি বাড়তি জ্যাক থাকবে। এখানে যদি প্যাকেটটি পুরো পানি কালার হয়, এবং প্যাকেটের ভিতর ক্লিপস আলাদা প্যাকেট থাকে ব্যাটারি আলাদা প্যাকেট থাকে তাহলে বুঝবেন এটি অরিজিনাল বয়া এম ওয়ান এর প্রোডাক্ট।
![]() |
অরিজিনাল boya by m1 প্যাকেট |
![]() |
অরিজিনাল boya by m1 প্যাকেট |
আর যদি ব্যাটারি ক্লিপস এবং হেডফোনের উপরের ক্যাপটি একটা কাগজের প্যাকেট থাকে এবং প্যাকেটটি যদি দুধের মত কালার হয় তাহলে নিঃসন্দেহে বুঝবেন এটা ভুয়া প্রোডাক্ট।
আরো বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।