অনেকের ছবি তোলা নেশা। অনেকে আবার এই নেশাটা কে পেশা হিসেবে নিতে চায়। কিন্তু ভালো কোন মাধ্যম পায়না। তাই এই নেশাদার দের পেশাদার হওয়ার সহযোগিতা করার জন্য আমাদের আজকের এই অন্যরকম পোস্ট।
আপনার যদি ভাল মানের একটি ক্যামেরা থাকে, অথবা যদি আপনার ভাল মানের ক্যামেরা সহ একটি স্মার্টফোন থাকে তাহলে আজকের পুরো পোস্টটি আপনার জন্য।
আপনি চাইলে আপনার মাঝে এই ছোট ছোট সুন্দর খুনসুটির ছবিগুলো দিয়ে ভালো মানের টাকা ইনকাম করতে পারেন। হয়তো অনেকেই এরকম অনেক মাধ্যম জানেন। আবার হয়তো অনেকেই জানেন না যে অনলাইনে কিভাবে ছবি কিংবা ছোট ভিডিও যেটাকে আমরা শর্ট ক্লিপস বলি এগুলো বিক্রি করে মাসে হিউজ পরিমান একটা টাকা ইনকাম করা সম্ভব।
অনলাইন প্লাটফর্ম এরকম হাজারো ওয়েবসাইট রয়েছে যারা কিনা ছবি এবং শর্ট ভিডিও ক্লিপ বেচাকেনা করে। তবে সবাই যে টাকা দেয় আবার সব ওয়েবসাইট থেকে যে টাকা ইনকাম করা যায়, এই ধারণাটা একেবারেই ভুল।
অফলাইনে যেমন চাপাবাজ আছে, বাটপার আছে। অনলাইনেও এমন অনেক চাপাবাজ বাটপার ওয়েবসাইট রয়েছে। তাই কাজ করার আগে সূক্ষ্ম মাথায় বিবেচনা করা উচিত যে আমি কার সঙ্গে কাজ করব এবং মাসের শেষে আমাকে কি দিবে।
এজন্য আমি আপনাদের জন্য সুন্দর একটি ব্যবস্থা করেছি ওয়ার্ল্ড ট্রাস্টেড পাঁচটি ইমেজেস স্টক ওয়েবসাইটে নিয়ে আলোচনা করব যারা খুব ট্রাস্টেড এবং পেমেন্ট করে।
তবে শুরুতেই দুটি গুরুত্বপূর্ণ কথা।
প্রথমটা হল যদি ছবি তোলা আপনার নেশা হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই কাজে যুক্ত হতে পারবেন।
তারপরে কথাটি হলো ট্রান্সলেট ওয়েবসাইটগুলো বেশি কাজ করে কম টাকা দেয়।
সেই ক্ষেত্রে দ্বিতীয় লাইনটা জন্য আপনার জন্য দারুন একটা ব্যবস্থা করে রেখেছি।
আপনি একই ছবি এবং একই ভিডিও ক্লিপস যদি ছয়টায় একাউন্টে সেল করেন। তাহলে মাস শেষে আপনার 30 থেকে 40 হাজার টাকা অনায়াসে চলে আসবে। তাই আমি বলব আপনি এরকম ভালো পাঁচটি ট্রান্সলেট ওয়েব সাইটে রেজিষ্ট্রেশন করে ফেলুন।
১. শাটার স্টক
২. আই-স্টক ফটো
৩. অ্যালামাই
৪. ফটোলিয়া (অ্যাডোবি স্টক)
৫. ক্রেস্টক
৬. বিগস্টকফটো
৭. গেটি ইমেজেস
এই সবগুলোই অনেক জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত। তবুও বলবো আমার কথায় এত ডিপেন্ডেন্ট না হয় আপনারা ইউটিউবে গিয়ে প্রতিটা কোম্পানির নাম লেখে পেমেন্ট প্রফ শেষের যোগ করে সার্চ করবেন। এবং আরো ভালোভাবে তদন্ত করবেন যে আপনার পরিচিত কেউ এখানে কাজ করে কিনা এবং টাকা ইনকাম করতে পেরেছে কিনা।
এই ওয়েবসাইটগুলোতে রেজিস্ট্রেশন করতে কি কি লাগবে?
১. প্রথমেই আপনার সুন্দর একটা জিমেইল লাগবে। সুন্দর জিমের এই কারণে বললাম যে জিমেইল টা আপনার সম্পূর্ণ ভেরিফাইড এবং পাসওয়ার্ড রিকভারি করতে পারবেন অনায়াসেই।
২. আপনার একটা পেওনার একাউন্ট থাকতে হবে।
কেননা এই কোম্পানিগুলো পেপাল, পেওনার এবং আরো কিছু জনপ্রিয় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা টান্সফার করে।
৩. এনআইডি কার্ড দেখে দেখে আপনার সম্পূর্ণ ঠিকানা নির্ভুলভাবে সাবমিট করতে হবে।
৪. একটি সিম নাম্বার।
৫. এবং নির্ভুল ভাবে আপনার প্রোফাইলটা কে সাজান।
যা অবশ্যই মনে রাখতে হবে:
১. ওয়েব সাইটে রেজিস্ট্রেশন করার আগে তাদের ট্রিমস এন্ড কন্ডিশন গুলো ভালোভাবে পড়ে বুঝবেন।
২. কাজ করার আগে তারা কোন রিলেটেড পিকচার গুলো কে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে এবং কোন কাজগুলো কে সামনে রাখে সেগুলো ভালোভাবে দেখে ধারণা নিবেন।
৩. বাংলাদেশ থেকে টাকা তুলতে পারবেন কিনা। মানে পাওনার সাপোর্টেড কিনা দেখবেন।
৪. প্রতিটা ওয়েবসাইটে ছবি রেজুলেশন সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়েছে সেটি খুব ভালোভাবে দেখবেন।
৫. আপনার প্রতিটা মানসম্মত ছবি তাদের কাছে সাবমিট করবেন।
৬. মনে রাখবেন আপনার ছবিটি কিনে কাস্টমারের যেন বেশি এডিট করতে না হয়।
৭. কতদিন পর পর টাকা তোলা যাবে এবং সর্বনিম্ন কত টাকা হলে আপনি তুলতে পারবেন।
৮. ছবি তুলে অনলাইনে বিক্রি করার জন্য আপনারা ভাল ফটোগ্রাফার হওয়া খুব জরুরি। আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন ছবি কিংবা ভিডিও করতে না পারেন তাহলে এখানে খুব একটা সফল হতে পারবেন না।
৯. ভালো ছবি তোলার পাশাপাশি আপনাকে ভালো এডিটর হতে হবে অথবা পিকচার এডিট নিয়ে মোটামুটি জ্ঞান থাকতে হবে। কারণ যারা আপনার পিকচারটা টাকা দিয়ে কিনবে তাদের মন মত না হলে তো তারা পিকচারটি কিনবে না।
সবশেষে আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই আর্টিকেল পড়ে যতটা সহজ মনে হচ্ছে টাকা ইনকাম করা আসলে ততটাই কঠিন। যেখানেই যান আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে বিনা পরিশ্রমে আপনি কিছুই করতে পারবেন না। তবে যারা ছবি তুলতে পছন্দ করেন তাদের জন্য একটি বাড়তি আয়ের এর সুবিধা মাত্র।
মোবাইল দিয়ে ইনকাম করার জন্য আমাদের একটি ইউটিউব চ্যানেল আছে আপনারা চাইলে ভিজিট করতে পারেন আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে।